নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত বৃহস্পতিবার পর্দা উঠেছে সিনেমার অন্যতম বৃহৎ মিলনমেলা ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে ৯ দিন ব্যাপী চলা এই উৎসবে ৭২ দেশের ২১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ প্যানোরমা’ ক্যাটাগরিতে দেখানো হয় সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘পাঠশালা’। দুই তরুণ নির্মাতা আসিফ ইসলাম ও ফয়সাল রদ্দি সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।
দশ বছরের এক মেধাবী পথশিশু মানিকের জীবন জয়ের অদম্য গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘পাঠশালা’ সিনেমাটি। এর আগে ভারত, জার্মানি ও কানাডার বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শন করা হয় ছবিটি। ছবিটি দেখতে গণগ্রন্থাগারের মিলনায়তনে ছিলো সিনেমাপ্রেমী মানুষদের ভিড়। বাংলাদেশের অন্যতম শিশুতোষ চলচ্চিত্রটি দেখতে অভিভাবকদের সঙ্গে ছিলো শিশুরাও। এ ছবিটি দেখে নিজেদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন দর্শকরা।
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ এই স্লোগান নিয়ে শুরু হয় ‘১৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। ‘বাংলাদেশ প্যানোরমা’ ক্যাটাগরিতে দেখানো হবে বাংলাদেশের মোট ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এদিকে একই মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় দেখানো হয় কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাককে নিয়ে নির্মিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের বহুল আলোচিত প্রামাণ্যচিত্র ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’। যা পরিচালনা করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
এবারের উৎসবে রয়েছে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেনস ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম ও উইমেন্স ফিল্ম বিভাগ। ৭২টি দেশের ২১৮টি চলচ্চিত্রের মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য (৭০ মিনিটের বেশি) ১২২টি, চলচ্চিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র ৯৬টি প্রদর্শিত হচ্ছে।
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন, অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তন ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমায় বিভিন্ন চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। উৎসবে সহযোগিতা করছে তাদের মধ্যে অন্যতম অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস।
উৎসবে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে।