বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা গানের অন্যতম সুরস্রষ্টা প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তাঁর দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল ১১টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় তাঁর মরদেহ। সেখানে প্রথমে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে প্রথমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে সর্বম্তরের জনগন ভিড় জমায়।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ জোহর তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় । সেখান থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) নেওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে বরেণ্য এ শিল্পীর মরদেহ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নেওয়া হয়। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফণ করা হয়।
২২ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাব নগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কিংবদন্তি এই শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
২২ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তারপর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুকালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি বুলবুলের হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়ে। তার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।