পৃথিবীর প্রাচীণ মাধ্যম বেতার। এটি শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি শিক্ষার মাধ্যম। খবরাখবর পাওয়ার একমাত্র শক্তিশালী মাধ্যম। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে তথ্য প্রাপ্তির একমাত্র বাহন এটি। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে এখনও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে টিকে আছে এটি। বিশেষ করে আমাদের জাতীয় জীবনের এই মাধ্যমটির গুরুত্ব অনেক। সংকটে বা দুর্যোগে রেডিও প্রেরণা দেয় আমাদের। আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও বেতার আমাদের এক গুরত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ছিলো। বেতারের অবদান স্বীকার করে ১৩ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস পালন করা হয়। তাই আজ বিশ্ব বেতার দিবস।
বাংলাদেশে ৮ম বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে। এ দিবসে বাংলাদেশ বেতার ছাড়াও প্রাইভেট এফএম ও কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলো অংশগ্রহণ করছে। এবারের বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সংলাপ, সহনশীলতা ও শান্তি।’ বাংলাদেশে বর্তমানে ২২টি প্রাইভেট এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও অনুষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশ বেতার ১২টি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র এবং ৩৫টি এফএম পরিচালনা করছে।
সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বেতার দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান আমাদের মহান মুক্তিসংগ্রামে অনন্য ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, সারাদেশে বাংলাদেশ বেতারের দুই হাজারের অধিক শ্রোতা ক্লাব রয়েছে। শ্রোতাক্লাবগুলোকে শিশুদের স্কুলে ভর্তি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক নিরোধ, নারী শিক্ষার প্রসার, ডিজিটাল বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করা সম্ভব।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা জাতিকে আজীবন কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে রাখবে।’ তিনি বিশ্ব বেতার দিবস ও শ্রোতাক্লাব সম্মেলন ২০১৯-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।