কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনে বসেছে বসন্ত উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও এ উৎসবে শোভাযাত্রা, আবির খেলাসহ নানামাত্রিক আয়োজন চলছে বুধবার রাত থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে বৈতালিকের মাধ্যমে শান্তিনিকেতনে শুরু হয় উৎসবের পরের আয়োজন।
গতকাল বুধবার রাত ৯টায় এই বসন্ত উৎসব পাঠ ভবন চত্বরে বৈতালিক দিয়ে শুরু হয়। বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকসহ দেশ–বিদেশ থেকে আসা অতিথিরা বিশ্বভারতীর আশ্রম চত্বরে এসে মিলিত হন। উৎসবে আবির মেখে সবাই মেতে ওঠেন উৎসবে।
বুধবার রাত থেকে চলা এ উৎসব চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত। এরপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে রং খেলায় মেতে ওঠেন। ঋতুরাজ বসন্তকে ঘিরে এই উৎসবে নাচে, গানে আর রঙে মাতোয়ারা হন সবাই। রবীন্দ্রসংগীতের তালে গান আর নাচ চলে। খুব ভোরে এ উৎসব শুরু হয় বসন্ত পূর্ণিমার দিন।
সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের পরিবেশনায় আশ্রম মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য শ্যামা সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯০৭ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ ‘ঋতুরঙ্গ উৎসব’ শুরু করেছিলেন। সেদিন শান্তিনিকেতনের প্রাণকুঠিরের সামনে এই উৎসব শুরু হয়। সেদিনের সেই প্রাণকুঠি এখন শমীন্দ্র পাঠাগার হিসেবে পরিচিত। আগে বসন্তের যে কোনো দিন এই উৎসব অনুষ্ঠিত হতো। পরে বসন্ত পূর্ণিমার দিনই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।