চলচ্চিত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবে এফএফএসবি
প্রকাশের সময় :
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক সকল নীতিনির্ধারণী জাতীয় কমিটিতে এফএফএসবি এর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিবেচনায় নিয়ে দেশের সকল চলচ্চিত্র সংসদকে বাৎসরিক আর্থিক অনুদান ও পৃষ্ঠপোষকতা করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপির দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ (এফএফএসবি)।
রোববার বিকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল কালচারাল আর্কাইভ কক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনে ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের দিনে প্রধানমন্ত্রীকে এ স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জাননো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক বেলায়াত হোসেন মামুন।
লিখিত বক্তব্যে মামুন বলেন, বহুবছর ধরে আমরা জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার রয়েছি। সরকারের দায়িত্বশীল বিভিন্ন মহল নানাসময় আমাদের এ দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও তা নিয়ে কোন উদ্যোগ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এবার তাই ৩ এপ্রিল চলচ্চিত্র দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এফএফএসবি’র একটি খসড়া রুপরেখাসহ স্মারকলিপি তুলে দিতে চাই। আমরা মনে করি একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই পারেন এ বিষয়ে একটি দ্রুত ও কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিতে। আমরা বিশ্বাস করি চলচ্চিত্রকে সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচনা করে সামাজিক স্তরে চলচ্চিত্রের শৈল্পিক বিকাশ ও সৃজনশীল উদ্যম প্রসারে জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় তিনি আমাদের চাওয়াকে আমলে নেবেন।
এছাড়া দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক সকল নীতিনির্ধারণী জাতীয় কমিটিতে এফএফএসবি এর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা ও দেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনকে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিবেচনায় নিয়ে দেশের সকল চলচ্চিত্র সংসদকে বাৎসরিক আর্থিক অনুদান ও পৃষ্ঠপোষকতা করার আহ্বান জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্রের রুপরেখা কেমন হবে কালচারাল ইয়ার্ড এর কাছে এমন একটি ধারণা দেন বেলায়াত হোসেন মামুন। তিনি জানান, যদি সরকার অনুমোদন দেয় তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটি অংশজুড়ে এই কেন্দ্র হতে পারে। এই কেন্দ্র হবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মুক্ত, স্বাধীন চলচ্চিত্র-সংস্কৃতি চর্চার অবাধ স্পেস। এমন একটি পরিসর গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছি যেখানে চলচ্চিত্রকে বিশ্বসংস্কৃতির গুরত্বপূর্ণ উপাদানরুপে জানতে, বুঝতে এবং চর্চা করতে উৎসাহ প্রদান করা হবে। এটি হবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সকল মানুষের সাংষ্কৃতিক কেন্দ্র।
এ সময় সংবাদ সম্মেলন থেকে চলচ্চিত্রকে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে ‘সংস্কৃতি’ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমি চলচ্চিত্র কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একটি জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র হবে। যেখানে মানুষ ঘুরতে আসবে। দেশে বিদেশের সিনেমা দেখবে। চলচ্চিত্র নিয়ে কথা হবে, আড্ডা হবে। এর মধ্য চলচ্চিত্র সংষ্কৃতির বিকাশ ঘটবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেষ্ঠ্য চলচ্চিত্র সংসদকর্মী সিরাজুল ইসলাম খান, চলচ্চিত্রকার প্রসূন রহমান ও রাজীবুল হোসেন। সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের নেতারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সম্মানীত প্রাক্তন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।