বিশেষ প্রতিবেদক :
স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র। যার পরিচয় চার্লি চ্যাপলিন নামে। নির্বাক যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা তিনি। বিশ্বখ্যাত এ ভবঘুরে অভিনেতার ১৩০তম জন্মদিন আজ। ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল ইংল্যান্ডের দক্ষিণ লন্ডনের ওয়েলওর্থের বার্লো স্ট্রিটে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কালচারাল ইয়ার্ডের পক্ষ থেকে চার্লি চ্যাপলিনের জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
চার্লি চ্যাপলিনের জন্মদিনে সারাবিশ্বের অগনিত ভক্তরা তাঁকে স্মরণ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ব্যাক্তিগত মাধ্যমে চ্যাপলিনকে স্মরণ করে তাঁর জীবনকর্ম ও চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা চলছে।
১৯১৪ সালে তার নিজের সৃষ্ট দ্য ট্রাম্প বা ভবঘুরে চরিত্রটি দিয়ে তিনি বিশ্ব চলচ্চিত্রে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগে মানুষকে হাসানোর মতো দুরূহ কাজটি শুধু অঙ্গভঙ্গি দিয়ে তিনি করতেন অত্যন্ত সফলভাবে। ১৯১৮ সালের মধ্যে তিনি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের মর্যাদা লাভ করেন। চার্লি চ্যাপলিন নিজেই নিজের নির্মিত ছবিতে অভিনয় করতেন, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করতেন। এমনকি অনেক ছবি তিনি নিজে প্রযোজনা করতেন। এমনকি সঙ্গীত পরিচালনাও করতেন তিনি।
তার চলচ্চিত্রগুলোতে বৈরীতার সাথে দ্যা ট্রাম্পের সংগ্রামের করুণ রসের স্ল্যাপস্টিক হাস্যরস বিদ্যমান ছিল। কয়েকটি চলচ্চিত্রে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তু ছিল এবং কয়েকটিতে আত্মজীবনীমূলক উপাদান ছিল। চ্যাপলিন তার কাজের পুনঃস্বীকৃতি পেলে ‘এই শতাব্দীর চলচ্চিত্রকে শিল্প রূপে দাঁড় করানোর পিছনে তার অপরিমেয় প্রভাবের জন্য’ তাকে ১৯৭২ সালে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়। শিল্পকলায় অবদানের জন্য তাকে ফ্রান্স সরকার ১৯৭১ সালে লেজিওঁ দনরের কমান্ডার ও রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৭৫ সালে নাইটহুডে ভূষিত করেন।
চার্লি চ্যাপলিনের আরও খবর
⇒ শুভ জন্মদিন ভ্যাগাবন্ড চার্লি চ্যাপলিন
মৃত্যুর পরও চ্যাপলিন তাঁর নির্মিত দ্য গোল্ড রাশ, সিটি লাইট্স, মডার্ন টাইমস ও দ্য গ্রেট ডিক্টেটর চলচ্চিত্র দিয়ে অমর হয়ে আছেন। এই চলচ্চিত্রগুলোকে প্রায়ই মার্কিন চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা তালিকায় স্থান করে নিতে দেখা যায়।
চার্লি চ্যাপলিনের ৭৫ বছরের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনটি বাদে বাকি সব চলচ্চিত্রই ছিল নির্বাক। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম কথা বলেন ১৯৪০ সালে, দ্য গ্রেট ডিকটেটর চলচ্চিত্রে।
চ্যাপলিনের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- মেকিং অব লিভিং (১৯১৪), দ্য ট্রাম্প (১৯১৪), কিড অটো রেসেস অ্যাট ভেনিস (১৯১৫), এ ডগস লাইফ (১৯১৭), শোল্ডার আর্মস (১৯১৮), দ্য কিড (১৯২১), দ্য সার্কাস (১৯২৬), সিটি লাইটস (১৯৩১), মডার্ন টাইমস (১৯৩৬), দ্য গ্রেট ডিক্টেটর (১৯৪০), দ্য গোল্ড রাশ (১৯৪২), লাইম লাইট (১৯৫২), এ কিং অব নিউইয়র্ক (১৯৫৭) ইত্যাদি।