নিউজ ডেস্ক :
জনপ্রিয় শিশুতোষ সিরিজ সিমিমপুর ১৫ বছরে পদার্পন করেছে। ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করা শিশুদের প্রিয় এ সিরিজটি ৩ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের জন্য নির্মিত হচ্ছে। যা শিশুর বিনোদন ও শিক্ষার চাহিদা পূরণ করছে। এ সিরিজের জনপ্রিয় চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরি শিশুদের অতি প্রিয়। সিসিমপুরের মাধ্যমে শিশুরা ভাষা, গণিত, জেন্ডার সমতা, সামাজিক মূল্যবোধ, আচার-আচরণ, পারস্পরিক সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসচর্চা, শিশুদের জমা-খরচ ও সঞ্চয় সম্পর্কে ধারণা ইত্যাদি বিষয়াদি শেখে। এছাড়া বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কেও অনেক কিছু শেখে শিশুরা। শিশুদের বাবা-মায়েরাও শিখতে পারছে।
সিসিমপুরের অনুষ্ঠানে শিশুকে বর্ণ চেনা, শব্দ থেকে বর্ণ চিহ্নিত করা, বর্ণ দিয়ে শব্দ মেলানো, শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি, চারপাশের পরিবেশ থেকে উপকরণ খুঁজে নিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে বর্ণ ও শব্দ চেনা প্রভৃতি কাজে সহায়তা করে। সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকে বিভিন্নরকম আকার-আকৃতির নাম, রঙের নাম ইত্যাদি শেখে শিশুরা।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণের বিষয়টি সিসিমপুর সবসময় গুরুত্ব দেয়। তাই সিসিমপুরের মাপেট, মানবচরিত্র, অ্যানিমেশন সবধরনের টেলিভিশন পর্বে চরিত্র অনুযায়ী প্রত্যেকের শুদ্ধ উচ্চারণকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। এর মাধ্যমে শিশুরা এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমিত বাংলা শোনার ও চর্চা করার সুযোগ পায়।
সিসিমপুরের নানাবিধ শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারের ফলে শিশুদের শিক্ষাগ্রহণ যেমন আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে শিক্ষকদের শিক্ষাদানও হয়েছে আনন্দদায়ক। সিসিমপুর প্রচারের বর্তমানে একাদশ সিজন চলছে। তৈরি হচ্ছে ত্রয়োদশ সিজন। প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ টেলিভিশন-এর মাধ্যমে সারাদেশের প্রায় এক কোটি দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, যেমন- চ্যানেল আই, দেশ টিভি ও চ্যানেল নাইনে প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি আরটিভি ও বিটিভি’তে প্রচারিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশ-এর যৌথ অর্থায়নে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সহযোগিতায় ২০১০ সাল থেকে সিসিমপুর আউটরিচ প্রকল্পটি দেশের ৬৪টি জেলায় ৩৩৪০টি স্কুলে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ-এর কারিগরি সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এছাড়াও সিসিমপুর প্রতিনিয়ত নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তার সকল কার্যক্রমই সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে। অনুষ্ঠানটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে শুরু থেকে এ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছে এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশন লিমিটেড।