বাংলা নাটক ও চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের শারিরীক অবস্থার আবারও অবনতি ঘটেছে। তাঁকে ফের লাইফ সাপোর্টে দেয়া হয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছিল তাই সোমবার সকাল পৌনে এগারোটার দিকে তাকে আবারও লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়ছে।
এর আগে একটু সুস্থ হওয়ায় গত শুক্রবার তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়। কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তাঁর শারীরিক অবস্থারও অবনতি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এটিএম শামসুজ্জামান। তাঁর মল-মূত্র বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ওইদিন রাত এগারোটার দিকে তাকে ভর্তি করা হয় । শনিবার দুপুরে প্রায় তিন ঘণ্টার অপারেশন চলে তাঁর। এরপর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাঁকে। এরপর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে এ নিয়ে দুইবার লাইফ সাপোর্ট দেয়া হল। এদিকে তাঁর সুস্থতায় তার জন্য দোয়া চেয়েছেন তাঁর পরিবার। সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে তাঁর অনুরাগী পর্যন্ত তাঁর আরোগ্য কামণা করছেন। নিজেদের আবেগ উৎকন্ঠার কথা শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গত ২৬ এপ্রিল মুক্তিপ্রাপ্ত নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত সিনেমা আলফা-তে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান।
একুশে পদক ও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরি পরিচালিত বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নারায়ণ ঘোষ মিতার পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য।
১৯৬৫ সালের দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। এরপরে কখনও প্রধান চরিত্র, কখনও কৌতুক অভিনেতা, আবার কখনও খলনায়ক– প্রতিটি জায়গায়ই রেখেছেন তাঁর অভিনয়ের স্বাক্ষর।
উদয়ন চৌধূরি ছাড়াও কাজী জহির, খান আতাউর রহমান, সুভাষ দত্তের সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন।
২০০৯ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটিকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন খ্যাতিমান এই চলচ্চিত্রকার। ছবির নাম ‘এবাদত’।