বিশেষ প্রতিবেদক :
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের (আইসিসিআর) বৃত্তি নিয়ে ভারতের বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতনাট্যমে স্নাতকোত্তর করছেন বাংলাদেশের জুয়েইরিয়াহ মৌলি। দেশে থাকতেই ছায়ানটে নৃত্যশিক্ষার শুরু। ভারতের চেন্নাইসহ বেশকিছু উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করে প্রশংসিত হন। এবার বেঙ্গালুরুর ভারতীয় বিদ্যাভবনে ভরতনাট্যম নাচের বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো টানা ৯০ মিনিট পারফর্ম করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের (আইসিসিআর) কানাড়া অ্যান্ড কালচার বিভাগ গত ৩ মে সন্ধ্যায় ‘এভরি ফ্রাইডে কালচারাল ইভিনিং’ নামের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ বিষয়ে জুয়েইরিয়াহ মৌলি বলেন, আমাকে এ পথ চিনিয়ে দেওয়ার জন্য আমি আমার গুরুদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার উপর ভরসা রাখার জন্য, আমার মা-বাবার প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞ। আমি সবার আশির্বাদ চাই যাতে আরও ভালো শিখতে পারি, জানতে পারি, ভালো ভালো কাজ করতে পারি। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যেন বাংলাদেশের নাম আরও অনেক মঞ্চে নিয়ে যেতে পারি এটাই প্রত্যাশা।
জুয়েইরিয়াহ মৌলির গর্বিত বড় বোন জুয়েইরিযাহ মউ আদরের ছোটবোনের এই অর্জনের খবর জানিয়ে বলেন, বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতনাট্যমে স্নাতকোত্তর কোর্স করতে যাওয়ার পর এই এক বছরে সাঁই নৃত্য উৎসব, তামিলনাড়ুর হনসুর নাট্যঞ্জলি, গুজরাটের গির্নার উৎসব, আওরঙ্গবাদের আরু আওরঙ্গবাদ নৃত্য উৎসবসহ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করেছে মৌলি।
জুয়েইরিযাহ মউ বলেন, তবে এবার বেঙ্গালুরুর ভারতীয় বিদ্যাভবনে ভরতনাট্যম নাচের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘এভরি ফ্রাইডে কালচারাল ইভিনিং’ এর ৯০ মিনিটের পরিবেশনা নিঃসন্দেহে তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি।
দলীয় ও একক পরিবেশনা করে ভরতনাট্যমের পূর্ণ মারগম। নৃত্যের পুষ্পাঞ্জলি এবং তিলানা অংশগুলো সরাসরি সঙ্গীতের সঙ্গে উপস্থাপন করেন মৌলি। এ অংশে শিল্পী অঞ্জনা রমেশ ছিলেন তাঁর সঙ্গে। নৃত্যগুরু কীর্তি রামগোপাল ছিলেন নাট্টুভাং পরিবেশনে। কণ্ঠসংগীতে ছিলেন নন্দকুমার উন্নি কৃষ্ণন। জনার্দন এবং কার্তিক সত্যভালি বাজান মৃদঙ্গ।
জুয়েইরিয়াহ মৌলি গত বছর অ্যাসোসিয়েশন অব ভরতনাট্যম আর্টিস্ট অব ইন্ডিয়ার আয়োজনে ভারতের চেন্নাইতে অনুষ্ঠিত ‘আভায় প্রবাসী উৎসব’-এ প্রথম বাংলাদেশি শিল্পী হিসেবে নৃত্য পরিবেশন করেন। তিনি বেঙ্গালুরুতে সাঁই নৃত্য উৎসব, তামিলনাড়ুর হনসুর নাট্যঞ্জলি, গুজরাটের গির্নার উৎসব, আওরঙ্গবাদের আরু আওরঙ্গবাদ নৃত্য উৎসবসহ নানা উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশের নৃত্যাঙ্গনকে পরিচিত করান। ইতোমধ্যে তিনি নাট্য কলামনি ও গির্নার রত্ন পদক অর্জন করেন।