নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাকে নিয়ে যেন গুজব না ছড়ানো হয়। এমন তথ্য জানিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেন তার স্বজনরা।
এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদের বরাতে তার এক আত্নীয় জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থার বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে। তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে কেবিনে রাখা হয়েছে। ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি এস এ হক অলিক গণমাধ্যমকে রবিবার জানিয়েছেন, এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় খানিকটা ভালো। সকাল ১১টায় লাইফ সাপোর্ট খুলে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
৭৫ বছর বয়সী এটিএম শামসুজ্জামানকে গত ২৬ এপ্রিল গেণ্ডারিয়া আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত এ অভিনেতার পরদিনই অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের তিন দিনের মাথায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কেবিন থেকে আইসিইউতে নিয়ে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। মাঝে কিছু দিন কেবিনে রাখার পর গত সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে।
এদিকে শুক্রবার এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার এই গুজব উড়িয়ে দিয়ে তাঁর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শনিবার রাতে এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই সালেহ জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একজন জীবিত মানুষকে নিয়ে এভাবে গুজব ছড়াচ্ছেন কারা? আমার ভাই ভালো আছেন। দোয়া করবেন যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি অভিনয়ে ফিরতে পারেন।’
গত ২৬ এপ্রিল মুক্তিপ্রাপ্ত নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত সিনেমা আলফা-তে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান।
একুশে পদক ও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরি পরিচালিত বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নারায়ণ ঘোষ মিতার পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য।
১৯৬৫ সালের দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। এরপরে কখনও প্রধান চরিত্র, কখনও কৌতুক অভিনেতা, আবার কখনও খলনায়ক– প্রতিটি জায়গায়ই রেখেছেন তাঁর অভিনয়ের স্বাক্ষর।
উদয়ন চৌধূরি ছাড়াও কাজী জহির, খান আতাউর রহমান, সুভাষ দত্তের সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন।
২০০৯ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটিকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন খ্যাতিমান এই চলচ্চিত্রকার। ছবির নাম ‘এবাদত’।