অভিনেত্রী জয়া আহসানের জন্মদিন আজ সোমবার। তবে দুই বাংলার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জয়া আহসান এবারের জন্মদিনে ওপার বাংলায় অবস্থান করছেন। কলকাতায় আছেন তিনি। সেখানে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যপারে তিনি বলেছেন, এবারের জন্মদিনেও দেশে থাকা হলো না। তবে সত্যিই জন্মদিনে সবাইকে ভীষণ মিস করব। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আল্লাহ আমাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। আর আমার ভক্ত-দর্শককে যেন ভালো ভালো গল্পের সিনেমা উপহার দিতে পারি। কারণ দর্শকের ভালোবাসাতেই আমি আজকের জয়া আহসান। তাই দর্শকের কথা মাথায় রেখেই ভালো ভালো গল্পের সিনেমাতে আমি অভিনয় করি।
যেইপারেই থাকুক না কেন কালচারাল ইয়ার্ড পরিবার গুনী এই অভিনয়শিল্পীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
ইতিমধ্যে জয়া শুরু করেছেন সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘অলাতচক্র’র কাজ। কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। তিনি এই সিনেমায় আহমদে ছফা’র প্রেমিকা ‘তায়েবা’ চরিত্রে অভিনয় করছেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছে ছবিটি। ছবিটি পরিচালক হাবিবুর রহমান হাবিব।
এদিকে কলকাতায়ও জয়া আহসান অতনু ঘোষের নতুন সিনেমা ‘বিনিসুতোয়’য় নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এর আগে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কণ্ঠ’ সিনেমাতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা পান জয়া। বাংলাদেশে মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমাটি।
গোপালগঞ্জ জেলায় জয়া আহসান জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ ও মা রেহানা মাসউদ ছিলেন একজন শিক্ষিকা। তারা দুই বোন এক ভাই। শুরুতে জয়া নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। ছবি আঁকাতেও তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিলো। সঙ্গীতেও পারদর্শিতা আছে তার। সঙ্গীতের একটি স্কুলও আছে তার।
২০০৪ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ব্যাচেলর। সৈয়দ শামসুল হক’র নিষিদ্ধ লোবান উপন্যাস অবলম্বনে বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত গেরিলা চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি ছবিতে বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালি চলচ্চিত্রে সাংবাদিক নবনী আফরোজ চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। তিনি অনিমেষ আইচ পরিচালিত জিরো ডিগ্রী সিনেমায় অভিনয় করে ২০১৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
জয়া অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পূর্ব, ছয়টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেন।