নিজস্ব প্রতিবেদক :
শর্ট ফিল্ম ফোরামের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিক্ষক ও চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বিকল্প চলচ্চিত্রের ৩৩ বছর উপলক্ষে শর্ট ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো স্মৃতিচারণ, আড্ডা, সম্মাননা প্রদান এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এ আয়োজনে মানজারে হাসিন মুরাদকে শর্ট ফিল্ম ফোরামের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্রে দিনব্যাপী এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জাহিদুর রহিম অঞ্জন। এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার, নির্মাতা ও চলচ্চিত্রকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মানজারে হাসিন মুরাদের ছাত্র-ছাত্রী যাদের অনেকেই দেশে বিদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণে খ্যাতি অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে মানজারে হাসিন মুরাদ সবাইকে ধন্যবাদ দেন। তিনি এ সময় বিকল্প চলচ্চিত্রের ৩৩ বছরে শর্ট ফিল্ম ফোরামের অতীত যাত্রার স্মৃতিচারণ করেন। দেশের বিকল্প চলচ্চিত্রের বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়েও তিনি আলোকপাত করেন।
শর্ট ফিল্ম ফোরাম ফুলের তোড়া ও সম্মাননা পত্র দিয়ে তাঁর অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এ উপলক্ষে চলচ্চিত্র কেন্দ্রে দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
শর্ট ফিল্ম ফোরামের পক্ষ থেকে মানজারে হাসিন মুরাদকে সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়
অনুষ্ঠান শেষে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা প্রদর্শন করা হয়। ছবি দুটি হচ্ছে সুবর্ণা সেঁজুতির মীনালাপ ও অং রাখাইন নির্মিত দ্যা লাস্ট পোস্ট অফিস।
উল্লেখ্য, বিকল্পধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং দেশব্যাপী বিকল্পভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আজ থেকে ৩৩ বছর আগে জন্ম হয় বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের। দেশের ৫৬ জেলার ২৫০ উপজেলায় গড়ে উঠেছিল ফোরামের বিকল্প প্রদর্শনের নেটওয়ার্ক।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেরও উদ্যোক্তা বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম। ১৯৮৮ সাল থেকে দু’বছর অন্তর ‘আন্তর্জাতিক স্বল্প এবং মুক্তদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব’ এখনও অব্যাহত আছে। শর্ট ফিল্ম ফোরামের দাবির মুখে এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিল্ম ইন্সটিটিউট গঠন এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে সরকারী অনুদান চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়েছে।
স্বৈর শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলনেও বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সক্রিয় ভূমিকা ছিলো।
চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ, নির্মাণ সহায়তা প্রদান, বিশ্বের বিকল্প চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা, চলচ্চিত্র বিষয়ে মানসম্পন্ন প্রকাশনা ইত্যাদি বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম-এর নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ; যা এখনও অব্যাহত আছে।