নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিংবদন্তী অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার এটিএম শামসুজ্জামান প্রায় চারমাস পিজি হাসপাতালের বিছানায় কাটিয়েছেন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিলেন কয়েকবার। দীর্ঘ হাসপাতাল বাস শেষে বুধবার (২৮ আগস্ট) কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় যাচ্ছেন তিনি।
তার স্ত্রী রুনি জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ টি এম শামসুজ্জামান এখন কিছুটা সুস্থ। তাঁকে আজ হাসপাতাল রিলিজ অর্ডার দিচ্ছে।
তার মেয়ে জানান, ‘চারমাস চিকিৎসা নেয়ার পর চিকিৎসক বাবাকে বাসায় ফেরার অনুমতি দিয়েছে। তবে বাসায় গেলেও চিকিৎসকদের তত্বাবধানে চলতে হবে তাকে। বাসাতেই চিকিৎসা চলবে। তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তিনি বাবাকে গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুস্থতা দান করেছেন। বাবাকে বাসায় নিতে পারছি। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন।’
তিনি গত ২৬ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়লে পুরোনো ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানে ডাক্তার আতিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন তিনি।
একুশে পদক ও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরি পরিচালিত বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নারায়ণ ঘোষ মিতার পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য।
১৯৬৫ সালের দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। এরপরে কখনও প্রধান চরিত্র, কখনও কৌতুক অভিনেতা, আবার কখনও খলনায়ক– প্রতিটি জায়গায়ই রেখেছেন তাঁর অভিনয়ের স্বাক্ষর।
উদয়ন চৌধূরি ছাড়াও কাজী জহির, খান আতাউর রহমান, সুভাষ দত্তের সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন।