নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় দুই তারকা ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। একজন নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অন্যজন অভিনেত্রী। সোমবার এই দুইজনের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এ নিয়ে রীতিমতো হৈ-চৈ পড়ে গেছে। ফেসবুকের হোম পেজ জুড়ে এখন তাদের এ সব ছবি ও এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন পোষ্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের নিয়ে নানা ট্রলের চিত্রও চোখে পড়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও সরব হয়েছে এ ইস্যুতে। কথা বলেছেন মিথিলা ও ফাহমিও।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন ভক্তদের সমালোচনা ঝড় তখন এ ইস্যুতে মিথিলার পাশে দাঁড়িয়েছেন শোবিজের তারকারা। এ ইস্যুতে সমালোচনার জবাব দিচ্ছেন তারা।
টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। কয়েক বছর আগে প্রেমিক রাজিবের সঙ্গে যার ব্যাক্তিগত ভিডিও ভাইরাল হয়। এ নিয়ে তখন তাকেও নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তিনি এ ঘটনায় ফেসবুকে একটি স্ট্যটাস দিয়েছেন। তিনি লেখেন- ‘কারও ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি শেয়ার বা পোস্ট করা, এথিকালি কোনো রাইট আপনি রাখেন না। বিকৃত মানসিকতার আমূল পরিবর্তন হোক….’। প্রভার এই পোস্টে অনেক মানুষের নেতিবাচক কমেন্ট আসলে তিনি পোস্টটি পরে সরিয়ে ফেলেন।
সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেত্রী মিথিলার আরও খবর :
⇒ সৃজিত-মিথিলার বিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি!
এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের মডেল ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। তিনি লেখেন, ভালোবেসে প্রেমিককে চুমু খেয়েছি, প্রেমিকের বুকে মাথা রেখে প্রাণ জুড়িয়েছি, তাতে কার বাপের কী, মায়ের কী বা চৌদ্দগুষ্টির কী? কেউ পাবলিক ফিগার বা জনপ্রিয় হলে তার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো বা ভালোবাসার অধিকার কি উধাও হয়ে যেতে হবে? উনাকে আপনাদের কাস্টোমাইজড অনুযায়ী ফাঙ্কসোনাল অমানব/রোবট হয়ে যেতে হবে? যেন আপনারা সবাই ধোয়া তুলশী পাতা! আদরে, ভালোবাসায় আবিষ্ট থাকতে সবাই চায়, সবাই ভালোবাসে। বোঝা গেল? বুঝলে বুঝ পাতা, আর না বুঝলে…।
চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘যে দেশে ভালোবাসা খারাপ হস্তমৈথুনে পুরুষত্ব। সে দেশে সাংবাদিকতা খুব স্বাভাবিক বিচারে এরকম হবে। বি স্ট্রং।
একটি গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, ‘এটা খুবই অসম্মানজনক। আমরা সত্যিই জানি না সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে ব্যবহার করতে হবে। আমি তরুণ অভিনেত্রী। দেশের বাইরে যাই। সেখানে গিয়ে ছোট পোশাক পরে ছবি আপলোড করি। কমেন্টে কী জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়! শাড়ি পরে ছবি দিলেও গালাগালি। শুধু আমি নই, জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রীদের ছবির নিচেও বাজে কমেন্ট করা হয়। সেটা যদি সুন্দর ছবিও হয়, তবুও।’ তিনি আরো বলেন, ‘মিথিলা অনেক বড় অভিনেত্রী। গুণী মানুষ। শুধু তা-ই নয়, তিনি একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার। এছাড়া তিনি একজন মা। হ্যাকার বা যারা ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়েছে, তারা জঘন্য। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এসবে আসলে মিথিলা আপুর কিছুই হবে না। তবে একটা কথা সবার মনে রাখা উচিত—আমরা মানুষকে সম্মান দিতে না জানি, অন্তত যেন কারো ক্ষতি না করি। আর এভাবে চলতে থাকলে তো ফেসবুক ছেড়ে দিতে হবে। কী দরকার ফেসবুক ব্যবহার করে গালি শোনার?’
এদিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে ভাবনা লেখেন, ‘কারো ইনবক্সের কথা বা তথ্য প্রচার করা—যে করেছে, সে কোনো মানুষ হতে পারে না। তাকেও কোনো মেয়ে জন্ম দিয়েছে। অন্য মানুষের ছবি ভাইরাল করে তোর লাভ কোথায়? আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করতে শিখিনি।’
সঙ্গীতশিল্পী আঁখি আলমগীর ফেসবুকে লেখেন, ‘অন্যের কিছু (তা যতই খারাপ হোক) যখন আপনি শেয়ার করছেন তখন আপনিও খুব ভালো কিছু করছেন না ।’
এদিকে চলচ্চিত্র নির্মাতা অপরাজিতা সংগীতা লিখেছেন, এইযে চুমু খাওয়ার ছবি দেখে যাদের পিত্তি জ্বলে যাইতেছে, তারা কোনোদিন কাউকে চুমু দেয় নাই??? মিথিলা কারে চুমু দিতেছে তা নিয়ে আপনাদের জ্বলতেছে ক্যান? সে কি কোথাও দস্তখত দিছিলো যে, জীবনে আর কুনুদিন কাউরে চুমু দিবে না বা শুধু মাত্র আপনারেই চুমু দিবে?
এদিকে ‘ইফতেখার আহমেদ ফাহমি’ নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে স্ট্যাটাসে জানানো হয়, ‘হ্যা মিথিলা আর আমার পরকিয়া হয়েছে। একবার নয় অনেকবার। আর এটা নিয়ে মজা করার কিছুই নেই। আমরা দুজন জাস্টফ্রেন্ড।’ তবে এটা ফাহমির নিজস্ব ফেসবুক পেইজ কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মিথিলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা অস্বাভাবিক কোনো ছবি না’। এই কথা বলেই ফোন কেটে দেন মিথিলা। এরপর থেকে মিথিলার ফেসবুক প্রোফাইলও ডিঅ্যাক্টিভেট করা।
শোবিজের আরও খবর :
⇒ আসুন সাকিবের পাশে দাঁড়াই : শোবিজ তারকারা
⇒ নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাকিবের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি তারকাদের