নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নাটকের সংগঠন নান্দীমুখ। সংগঠনটির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এর প্রথম আয়োজন হিসেবে চট্ট্রগ্রামে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে ‘নান্দীমুখ আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব ২০১৯’। আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে এ উৎসব। ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।
এবারের উৎসবে ইরান, স্পেন, ভারত ও বাংলাদেশের আটটি নাট্যদলের প্রদর্শিত প্রযোজনা মঞ্চস্থ হবে। এ আয়োজনে ‘বাংলা রাজনৈতিক থিয়েটার ও উৎপল দত্ত’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো নান্দীমুখ নাট্য সংগঠন সারাদেশের চারজন প্রতিশ্রুতিবান নাট্য নির্দেশককে সম্মাননা প্রদান করবে।
১৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশবরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব ও বিশ্ব আইটিআইয়ের সম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার। এছাড়া ভারতীয় দূতাবাস, চট্টগ্রামের সহকারি হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি ও বিশিষ্ট নাট্য গবেষক আশীষ গোস্বামী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
নান্দীমুখ এর দলীয় প্রধান অভিজিৎ সেনগুপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। শুরুর দিন নান্দীমুখ তাদের বহুল প্রশংসিত প্রযোজনা ‘আমার আমি’ মঞ্চস্থ করবে। ‘বাংলা রাজনৈতিক থিয়েটার ও উৎপল দত্ত’ শিরোনামে ১৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার। বিশিষ্ট নাট্য গবেষক আশীষ গোস্বামী সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। কলকাতার ভাবনা থিয়েটার পত্রিকার সম্পাদক অভিক ভট্টাচার্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক ড. কুন্তল বড়ুয়া সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে ১৬ নভেম্বর মঞ্চস্থ হবে তির্যক নাট্যগোষ্ঠীর ‘রোমিও জুলিয়েট’, ১৭ নভেম্বর ভারতের আমতা পরিচয়ের ‘সাবিত্রীবাঈ ফুলে’, ১৮ নভেম্বর ভারতের প্রান্তিকের ‘গওহরজান’, ১৯ নভেম্বর স্পেন এর মুন প্যালেসের ‘ডিলেমাস উইথ মাই ফ্লামেনকো টেইলকোট’, ২০ নভেম্বর ভারতের চাকদহ নাট্যজনের ‘বিল্বমঙ্গল’, ২১ নভেম্বর ইরানের ক্রেজি বডি গ্রুপের ‘মিস্টিরিয়াস গিফ্ট’ এবং ২২ নভেম্বর ভারতের জ্যোতি ডোগরা গ্রুপের ‘ব্ল্যাক হোল’ প্রদর্শিত হবে।
তবে নান্দীমুখ নাট্য দলের দলপ্রধান অভিজিৎ সেনগুপ্ত বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আবেদনকৃত প্রায় সবাই নাট্য উৎসবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুদান পেয়েছে। অনুদানের জন্য সভায় ২২টি ফাইল উঠেছিল বলে শোনা গেছে। এর মধ্যে ২১টি পাস হয়েছে শুধুমাত্র নান্দীমুখের অনুদানের ফাইলটি পাস হয়নি। অনেক চেষ্টা করেও মন্ত্রনালয় তাদের নাট্যদলকে অনুদান দেয়িনি বলে জানান অভিজিৎ সেনগুপ্ত।
এতোকিছুর পরেও বিশ্ব নাটকের সঙ্গে বাংলা নাটকের যোগসূত্র ও নতুন দর্শক তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজ করে যেতে চায় এই নাট্য সংগঠনটি। সেটাতে তারা সফল হবারও প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।