নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হবে ৮ ডিসেম্বর। বরাবরের মত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ ডিসেম্বর সময় দিয়েছেন। ওইদিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেবেন তিনি।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর বাংলা চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালে ২৭টি ও ২০১৮ সালে ২৮টি বিভাগে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের এই পুরস্কার দেয়া হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সংক্রান্ত আরও খবর :
⇒ যাঁরা পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
⇒ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কি জাতীয় তিরস্কার হয়ে উঠছে?
বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৭ সালের আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন কিংবদন্তী অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার এটিএম শামসুজ্জামান এবং অভিনেত্রী সালমা বেগম সুজাতা।
আলোচিত সিনেমা ‘ঢাকা অ্যাটাক’ পাচ্ছে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার। প্রধান চরিত্রে যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার পাচ্ছে ‘সত্তা’ চলচ্চিত্রের জন্য সুপারস্টার শাকিব খান ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমার জন্য জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। ‘হালদা’ ছবির জন্য প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার পাচ্ছেন ছোটপর্দা ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালের যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন প্রবীন অভিনেতা প্রবীর মিত্র ও পরিচালক, গায়ক, উপস্থাপক এবং ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা আলমগীর।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রযোজিত ‘পুত্র’ পাচ্ছে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার যুগ্মভাবে পাচ্ছেন ‘পুত্র’ চলচ্চিত্রের জন্য ফেরদৌস আহমেদ এবং ‘জান্নাত’ সিনেমার জন্য সাদিক মোহাম্মাদ সাইমন। প্রধান চরিত্রে ‘দেবী’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হচ্ছেন জয়া আহসান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান শুরু হয় ১৯৭৫ সালে। প্রথমে না থাকলেও নতুন করে ‘আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’ বিভাগ যোগ হয় ২০০৯ সালে।