আজ বিশ্ব টেলিভিশন দিবস। ১৯২৬ সালের এই দিনে টেলিভিশন আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী জন লোগি বেয়ার্ড। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত এক ফোরামে ২১ নভেম্বরকে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এদিনে বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোও নানা আয়োজনে পালন করে। বিশ্বায়নের এ যুগে সরকারি টেলিভিশন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) পাশাপাশি প্রায় ৩৪টির মতো জাতীয় বেসরকারি টেলিভিশন রয়েছে। তোড়জোড় চলছে আঞ্চলিক টেলিভিশন করারও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে টেলিভিশন প্রযোজকদের সংগঠন টেলিভিশন প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন-টিপিএ নানা কর্মসূচি পালন করে। এর আওতায় দেশের অন্যতম বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভি বিশাল আয়োজনে দিনব্যাপী আয়োজন করেছে আলোচনা, মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
এ বিষয়ে আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে ৩৪টি টিভি চ্যানেল রয়েছে। যা সংখ্যার দিক থেকে বেশ বড় পরিসর বলা যায়। এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। দিবসটি আমাদের কাছে তাই তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে আরটিভি দিবসটি পালন করলেও এবার প্রথমবারের মতো এত বড় পরিসরে আয়োজন করছে। এতে টিভি কর্মীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনেকেই অংশ নেবেন বলে আশা করছি।’
এদিন আয়োজিত ৩টি গোলটেবিলের একটিতে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব স্টুডিও তেজগাঁওয়ের বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সেখানে টেলিভিশন মিডিয়ায় কর্মরতদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বর্তমান বিশ্বে টেলিভিশন সব থেকে শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম। তবে বাংলাদেশে এখনো সম্প্রচার স্বাধীনতা পুরোপুরি অর্জিত হয়নি বলে মনে করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিরা।