নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান অনেকদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন তিন মাস হলো। আবারও পরিপাকতন্ত্রের জটিলতার জন্য সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে তাঁকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার তিনি পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছেন। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
তাঁর মেয়ে জানান, ভর্তির পর বাবাকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে অস্ত্রোপচার করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক শাহাদাতের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এটিএম শামসুজ্জামান সম্পর্কিত আরও খবর :
⇒ অভিনয়ে ফিরছেন এটিএম শামসুজ্জামান ও মাসুদ আলী খান
⇒ এটিএম শামসুজ্জামানের হাতে বুলুবুল আহমেদ স্মৃতি সম্মাননা
গত ৬ আগস্ট অস্ত্রোপচারের পর ২৯ আগস্ট এই হাসপাতাল থেকেই বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতাল ছাড়ার তিনমাস পর তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো। গত ২৬ এপ্রিল তাকে গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও প্রায় দুই মাস তাঁর চিকিৎসা করা হয়।
তাঁকে একাধিকবার আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিলো। এমনকি দুই ঈদও তাঁকে কাটতে হয়েছে হাসপাতালে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের জন্য ১০ লাখ টাকাও দেন।
এদিকে গত ২৬ এপ্রিল মুক্তিপ্রাপ্ত নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত সিনেমা আলফা-তে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান।
একুশে পদক ও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরি পরিচালিত বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নারায়ণ ঘোষ মিতার পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য।
১৯৬৫ সালের দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। এরপরে কখনও প্রধান চরিত্র, কখনও কৌতুক অভিনেতা, আবার কখনও খলনায়ক– প্রতিটি জায়গায়ই রেখেছেন তাঁর অভিনয়ের স্বাক্ষর।
উদয়ন চৌধূরি ছাড়াও কাজী জহির, খান আতাউর রহমান, সুভাষ দত্তের সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন।
২০০৯ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটিকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন খ্যাতিমান এই চলচ্চিত্রকার। ছবির নাম ‘এবাদত’।