আজ খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের আজকের এই দিনে (২০ ডিসেম্বর) তিনি তার চার সন্তান ও অগণিত ভক্ত-শ্রোতা রেখে ইহলোক ত্যাগ করেন। কালচারাল ইয়ার্ড পরিবার এই গুণী শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে।
মাহমুদুন্নবী ১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বর্তমান ভারতের বর্ধমানের কেতু নামক এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনের এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম মাহমুদুন্নবী। অসংখ্য কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তাঁর গান এবং সঙ্গীতময় কর্মযজ্ঞ তাঁকে শ্রোতার কাছে জীবন্ত করে রেখেছে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে তিনি এক নবদিগন্তে দ্বার উন্মোচন করেছেন। তার জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের গানের মধ্যে ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’ (আলো তুমি আলেয়া), ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ (স্বরলিপি), ‘তুমি যে আমার কবিতা’ (দর্পচূর্ণ), ‘এক অন্তবিহীন স্বপ্ন ছিল’ (স্বরলিপি), ‘আমি তো আজ ভুলে গেছি সবই’ (দি রেইন), ‘সুরের ভুবনে আমি আজো পথচারী’ (হারজিৎ), ‘বড় একা একা লাগে তুমি পাশে নেই বলে’ (দীপ নিভে নাই), ‘এই স্বপ্ন ঘেরা দিন রাখবো ধরে’ (দর্পচূর্ণ), ‘তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছো আমার অজান্তে’ (আবির্ভাব), ‘গীতিময় এইদিন সেইদিন চিরদিন রবে কি’ (ছন্দ হারিয়ে গেল), ‘ওগো মোর মধুমিতা’ (মধুমিতা), ‘আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন’ (নাচের পুতুল), ‘ও মেয়ের নাম দিব কি’ (স্বরলিপি), ‘সালাম পৃথিবী তোমাকে সালাম’, ‘মনে তো পড়ে না কোন দিন’ এবং ‘আমি ছন্দহারা এক নদীর মত ছুটে যাই’ অন্যতম।
১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দি রেইন’ চলচ্চিত্রে ‘আমি তো আজ ভুলে গেছি সবই’ গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন কিংবদন্তি এই সঙ্গীতশিল্পী।
পারিবারিক জীবনে তিনি রাশিদা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। তার চার সন্তান। কন্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, রিদওয়ান নবী পঞ্চম ও তানজিদা নবী। এই চারজনই তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি। নিজেদের অসাধারণ গানের মাধ্যমে বাংলা সঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন।