ঢাকাই চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যু রহস্য নিয়ে গত ২৪ বছরে কম জল ঘোলা হয় নি। হত্যা নাকি আত্নহত্যা- এ নিয়ে ছিলো বিতর্ক। সবশেষে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত শেষে পিবিআই জানায়, সালমান শাহ আত্নহত্যা করেছে। শাবনূরকে নিয়ে পারিবারিক কলহে সালমানের আত্নহত্যা।
সালমান শাহ’র আত্নহত্যার আরও ৪টি কারণও উল্লেখ করেছে পিবিআই। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, পিবিআইয়ের তদন্তে সালমান হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায় নি। শাবনূরের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরে পারিবারিক কলহ তৈরি হয়। এ নিয়ে মানসিক যন্ত্রণায় সালমান আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তদন্তের আরও কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, সালমানের আত্মহত্যার আরও ৫ কারণ।
প্রথমত সালমান শাহ ও চিত্রনায়িকা শাবনূরের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা। দ্বিতীয়ত স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ। তৃতীয়ত মাত্রাধিক আবেগপ্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা। চতুর্থত মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেওয়া।
এছাড়া শেষ কারণ হিসেবে পিবিআই উল্লেখ করেছে, সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা ছিলো সালমানের।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তখনকার পুলিশের ময়না তদন্ত রিপোর্টে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। তবে সালমান শাহ-এর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্ত্রী সামিরাকে অভিযুক্ত করেছেন তাঁর মা নীলা চৌধুরী। সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী স্ত্রী সামিরা ও আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা ২৪ বছরে এ হাত ও হাত ঘুরে পিবিআইয়ের হাতে আসে।