নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’ স্লোগানে কণ্ঠশীলন আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসবের সমাপ্তি ঘটেছে। এ উৎসবে কণ্ঠশীলনের পক্ষ থেকে ওয়াহিদুল হক মিলনায়তনের দাবি জানানো হয়।
শুক্র ও শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে আয়োজিত এই মিলনোৎসবের দ্বিতীয় দিন ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে উদযাপিত হয়। বিকাল ৩টায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর গানের মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
এরপর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রইস উল ইসলাম বক্তব্য প্রদান করেন ও কবিতা আবৃত্তি করেন। এছাড়া দ্বিতীয় দিন আরও আবৃত্তি করেন: বিলকিস আহমেদ, নরোত্তম হালদার, সালাম খোকন ও অনন্যা গোস্বামী।
কণ্ঠশীলন পরিচালিত শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিক্ষার চতুর্নবতি, পঞ্চনবতি ও ষড়নবতি আবর্তনের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ এদিন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ওয়াহিদুল হক ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সংগীত জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। যিনি ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া উর্ধ্বে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি আমাদের ছেড়ে গেছেন এক যুগেরও অধিক হয়ে গেছে। অথচ ওয়াহিদুল হককে স্মরণ করে রাষ্ট্রীয় কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নি।
এ সময় তিনি ওয়াহিদুল হক মিলনায়তন নামে রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানান। যেখানে আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হবে।
আরও পড়ুন : সংস্কৃতির শিক্ষাগুরু ওয়াহিদুল হক
কণ্ঠশীলনের নতুন আবৃত্তি প্রযোজনা ‘বঙ্গবন্ধু: ভালোবেসে হৃদয়ে রেখেছি’-এর প্রথম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়। প্রযোজনাটির রচনা ও গ্রন্থনা করেছেন হাসান জাহাঙ্গীর এবং নির্দেশনা দিয়েছেন মীর বরকত। প্রযোজনাটির উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা, আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম।
কণ্ঠশীলনের আরও খবর :
⇒ আবৃত্তি ও সঙ্গীতে কণ্ঠশীলনের ৩৬ এ পদার্পণ
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উৎসবের গণমাধ্যম সহযোগী হিসেবে ছিলো আরটিভি, ডেইলি স্টার ও দৈনিক সমকাল। একক আবৃত্তি করেন দেশের প্রথিতযশা আবৃত্তিশিল্পীরা। তাঁর হলেন, আশরাফুল আলম, মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, কবি লিলি হক, পদ্মাবতী দেবী, কবি দিনার সুলতানা বিন্তী, আখতার হোসেন, নাজমুল আহসান, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি, তামান্না তিথি, অনিমেষ কর, নিমাই মন্ডল, মিজানুর রহমান সজল, মীর মাশরুর জামান রনি, মনিরুল ইসলাম, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম নাজু, মাশরুক টিটু, নাসিমা খান বকুল, অনন্যা সাহা, সাবিরা মাহবুব জনি, জালাল উদ্দিন হীরা, হাসান মাহদী লাল্টু ও নাজনীন নাজ।
জনি বয়াতি ও তাঁর দলের মনোমুগ্ধকর বাউল সঙ্গীতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে জারীগান পরিবেশন। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে দুইদিনের এই আনন্দযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটে।