নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ব অ্যামেচার রেডিও দিবস আজ। ১৯২৫ সালের ১৮ এপ্রিল ফ্রান্সের প্যারিসে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অ্যামেচার রেডিও ইউনিয়ন (আইএআরইউ)। এই দিনকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী অ্যামেচার রেডিও দিবস পালন করা হয়। নানা কর্মসূচিতে দিবসটিকে পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি নেয়া হয়নি এবার। তবে অ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
জানা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রচলিত টেলিকম নেটওয়ার্ক বিধ্বস্ত হয়। সে সময় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ধারকারীদের সাহায্যের জন্য একজন অ্যামেচার রেডিও অপারেটর বা হ্যাম রাষ্ট্রের অঘোষিত দূত হিসেবে কাজ করেন।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশে অ্যামেচার রেডিও চর্চা শুরু হয়। সাবেক বাংলাদেশ তরঙ্গ ও বেতার বোর্ডের ১৮তম সভায় বাংলাদেশে প্রথম অ্যামেচার রেডিও সার্ভিস চালু করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রায় চার শতাধিক লাইসেন্সপ্রাপ্ত অ্যামেচার রেডিও অপারেটর আছেন। বিটিআরসি পরীক্ষার মাধ্যমে এই রেডিও ব্যবহারের লাইসেন্স দেয়।
অ্যামেচার রেডিও একটি বিজ্ঞানমনস্ক শখ। এটি একটি শখ হলেও এর মাধ্যমে দুর্যোগকালীন সময়ের খুব দ্রুত যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। একজন অ্যামেচার রেডিও অপারেটর রেডিও ট্রান্সমিটার ও রিসিভারের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে যোগাযোগ করেন। এ্যামেচার রেডিও অপারেটদের বলা হয় হ্যাম (HAM) বলা হয়।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে হ্যাম রেডিও অপারেটরের সংখ্যা ২৫ লাখের ও বেশী। একটি ব্যক্তিগত অ্যামেচার রেডিও ষ্টেশন বিভিন্ন ধরণের রেডিও ট্রান্সমিটার ও রিসিভারের সাহায্যে গড়ে উঠে।
‘পাবলিক সার্ভিস’ অ্যামেচার রেডিও সার্ভিসের একটি উল্লেখযোগ্য দিক। দেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে অ্যামেচার রেডিও অপারেটররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিভিন্ন বড় বড় স্পোর্টস বা ম্যারাথন প্রতিযোগিতাসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেডিও অ্যামেচাররা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। অনেক দেশে এ সব অপারেটটররা পুলিশ প্রশাসনকেও সাহায্য করে থাকেন।