নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র অনুদানে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের নেতারা। তারা বলেন, চলচ্চিত্র অনুদান প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসান ঘটানো জরুরি। চলচ্চিত্র অনুদানের এই রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় গতিশীল থাকুক এটাই চাওয়া।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের মানববন্ধন থেকে এ দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনটির জাতীয় কমিটির আহবায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক বেলায়াত হোসেন মামুন বলেন, চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের দাবির মুখে সরকার দেশীয় চলচ্চিত্রে শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান প্রদানের পদ্ধতি শুরু করেছিল। শুরুর পর্যায়ে চলচ্চিত্র অনুদানেই নির্মিত হয়েছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ বা ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’র মত কালজয়ী চলচ্চিত্র। কিন্তু চলচ্চিত্র অনুদানে এই শিল্পগুণধর্মী চলচ্চিত্রের ধারা বহমান থাকেনি।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে অনুদান প্রদানের এই ব্যবস্থাটি ক্রমান্বয়ে বিতর্কিত হয়েছে এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুদানপ্রাপ্ত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের মান ও গুণ উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
চলচ্চিত্র অনুদান কেবলমাত্র শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের জন্য সংরক্ষিত থাকুক এমন দাবি করে বেলায়াত হোসেন মামুন বলেন, চলচ্চিত্র অনুদান দেশের তরুণ চলচ্চিত্রকর্মীদের সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করুক।
মানববন্ধনে চলচ্চিত্র পর্ষদের নেতারা অবিলম্বে চলচ্চিত্র অনুদানে স্বচ্ছতা আনয়ন করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনে আলোচিত এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু সেমিনার, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক এই বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে কলাম ও নিবন্ধ লিখে তথ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়াস করেছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কার্যত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ সময় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের ঢাকা বিভাগের আহবায়ক চলচ্চিত্র নির্মাতা নির্তেশ সি দত্ত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব আহমেদ হিমু, ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সহ-সদস্য সচিব রুমকী রুসা এবং তানভীর আহমেদসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।