নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতিজন, বাংলা সংস্কৃতির সাহসী নারী রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য সনজীদা খাতুন। বাংলাদেশের একুশে পদকে ভূষিত হওয়া এ সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব এবার ভারতের মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’-তে ভূষিত হলেন। এবার একই সঙ্গে লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীককে এ সম্মননা প্রদান করা হয়েছে।
ভারত সরকার এ বছর ১১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭জনকে পদ্মবিভূষণ, ১০ জনকে পদ্মভূষণ ও ১০২ জনকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এর আগে বাংলাদেশের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননা অর্জন করেন। প্রত্নতত্ত্ববিদ এনামুল হক এবং সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরী ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।
রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী, লেখক, গবেষক, শিক্ষক ও সংগঠক ড. সনজীদা খাতুন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কারসহ (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১৯৮৮ সালে তাঁকে রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য উপাধি প্রদান করেন।
তিনি ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজ তাঁর জন্মদিন। বাবা সঙ্গীতশিল্পী ও জাতীয় অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেন। রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে সংসার পাতেন তিনি। তাঁকে বাংলা সংস্কৃতির সাহসী নারী বলা হয়।
দেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমান সভাপতি তিনি। জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভিন্নধর্মী শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নালন্দা’র সভাপতিও তিনি।
লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে তিনি কাকুল সামরিক একাডেমিতে সিনিয়র ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ গবেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির পাঁচজন বীরশ্রেষ্ঠের জীবনীসহ লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের চিত্র কাহিনী, রংপুর সেনানিবাসে দুঃসাহসিক আক্রমণ, মুক্তির সংগ্রামে মেহেরপুর, মুক্তির সংগ্রামে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস: সিলেট-এর মতো অনুসন্ধানী বইসহ বেশকিছু বই লিখেছেন।