কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
কিংবদন্তি গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১’ এ ভূষিত হচ্ছেন। রোববার (৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১’ মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় এই দুই গুনী ব্যাক্তিত্বের নাম উল্লেখ করা হয়।
জাতীয় পর্যায়ের সংস্কৃতিতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৯জন বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে এ সম্মান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার গুনীজনদের হাতে তুলে দেবেন।
পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে অসংখ্য গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এছাড়া লিখেছেন চলচ্চিত্রের কাহিনী ও চিত্রনাট্য। পরিচালক ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও তিনি বরেন্য হয়ে আছেন। তিনি বিবিসি’র জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গানের রচয়িতা। ২০০২ সালে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
জয় বাংলা, বাংলার জয়, আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, জন্ম আমার ধন্য হল, গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে, আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, যার ছায়া পড়েছে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে, তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়সহ অসংখ্য কালজয়ী গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল।
স্কুলে থাকাকালীন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িয়ে পড়েন আতাউর রহমান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নটীর পূজা’ নাটক দেখে মঞ্চপাঠ শুরু করেন। ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম তিনি।
১৯৭২ সালে নাগরিকের ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এর মাধ্যমে নাট্য নির্দেশনা শুরু করেন। মঞ্চের পাশাপাশি রেডিও ও টেলিভিশনেও তিনি সমানতালে অভিনয় করে যাচ্ছেন কয়েক দশক। ২০০১ সালে নাট্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
এই দুইজন ছাড়া বাকি যে ৭ বিশিষ্ট ব্যাক্তি পাচ্ছেন এ পুরস্কার তারা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে মরহুম এ কে এম বজলুর রহমান, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ, মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মুন্ময় গুহ নিয়োগী, সাহিত্যে মহাদেব সাহা, সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।