২১ সেপ্টেম্বর ঝুমুরের ছবি ‘দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস’র প্রিমিয়ার
প্রকাশের সময় :
কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
সার্কাস শিল্পীদের টিকে থাকার সংগ্রামী জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা ঝুমুর আসমা জুঁই নির্মাণ করেছেন প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস’। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার ছবিটির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন বিকাল ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ছবিটির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব অনন্ত হিরা।
ছবিটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ঝুমুর আসমা জুঁই।
সামান্য প্রাপ্তি আর নির্মম বাস্তবতা, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। তারপরও প্রদর্শনী শেষে বিশ্বজয় করার অনাবিল প্রশান্তি। একজন সত্যিকারের শিল্পীর পক্ষে সম্ভব নিজেকে বিলিয়ে অন্যকে আনন্দ দেওয়া। মূলত লক্ষণ দাসের হাতে যে সার্কাস দলটি গড়ে উঠেছিল, সেই দিলটির বিভিন্ন পালাবদল এই চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য।–নির্মাতার ভাষ্যে উঠে এসেছে বিষয়টি।
ঝুমুর আসমা জুঁই বলেন, গৌরনদীর লক্ষণ দাস ষাটের দশকের শুরুতে ‘দি রয়্যাল পাকিস্তান সার্কাস’ নামে একটি সার্কাসের দল খোলেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সহযোগিতা করেন মুক্তিযোদ্ধাদের। লক্ষণ দাসকে এ অঞ্চলের সার্কাস শিল্পের জনকও বলা হয়। এই শিল্পকে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেছেন। গুণী এই শিল্পী মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। সার্কাসের বিভিন্ন সরঞ্জাম, হাতি, বাঘ, সিংহসহ অন্যান্য প্রাণী নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দলটি সার্কাস দেখিয়ে বেড়ায়, এক সময় তাদের প্রধান বাহন ছিল নৌকা। সার্কাস কোম্পানির দলটি জীব-জন্তু নিয়ে সার্কাসের শো চলাকালে এক-দেড় মাস ধরে প্যান্ডেল আর নৌকায় জীবনযাপন করত। প্রদর্শনী শেষে পুরো প্যান্ডেল ভেঙে পুনরায় লোকজন পশু-পাখিদের নিয়ে অন্য জায়গায় যাওয়ার যে প্রক্রিয়া, সেটা ছিল জীবনযুদ্ধের আরেক লড়াই।