কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
আগামী শনিবার ১৪ জানুয়ারি পর্দা উঠছে একবিংশতম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। এদিন বিকেল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে দেখানো হবে ফাখরুল আরেফিন খান পরিচালিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র জেকে ১৯৭১।
বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসব সম্পর্কিত বিষয়াদি তুলে ধরেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা কামাল। এ সময় সেখানে ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চলচ্চিত্র লেখক বিধান রিবেরু ও সাদিয়া খালিদ রীতিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
নয়দিনব্যাপী আয়োজিত উৎসবে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তন (প্রধান মিলনায়তন) ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, আঁলিয়শ ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
এর মধ্যে জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে সকাল সাড়ে দশটা, দুপুর ১টা ও বিকেল ৩টার প্রদর্শণী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে দেখতে পারবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। এর বাইরে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য সৌজন্য গেটপাস, জাতীয় জাদুঘর চত্বরে উৎসবের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
এছাড়া জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, আঁলিয়স ফ্রসেজ মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে আসন বন্টন করা হবে।
বরাবরের মতো এবারের উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেক্টিভ বিভাগ, বাংলাদেশে প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্যা ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট এন্ড ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেনস ফিল্ম সেকশনে বাংলাদেশসহ ৭১টি দেশের মোট ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
উৎসবে ২৫২ টির মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য (৫০ মিনিটের বেশি) চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৯টি, স্বাধীণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৩টি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আছে ৮১টি, যার মধ্যে ৫৯টি স্বাধীন ও স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য।
এ উৎসবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজ, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, রুট গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশ।
উৎসব পার্টনার হিসেবে আছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, আঁলিয়স ফ্রসেস, স্টার সিনেপ্লেক্স, ঢাকা ক্লাব লিমিটেড, নরওয়েজিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, হগিুসন্ড, রিলিজিয়ন টুডে ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যাল, চ্যানেল আই, দুরন্ত টিভি, একাত্তর টিভি ও সেন্স ফর ওয়েব, ক্লাউড লাইভ।
উৎসবে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য বিনামূল্যে চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ থাকছে। তবে এতে গণমাধ্যমকর্মীদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রোমান-জাহিদের সিনেমা মধুমতির তীরে