কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের জীবনী নিয়ে মো. রাসেল রানা দোজা নির্মাণ করেছেন প্রামাণ্য চলচ্চিত্র জলেশ্বরীর বরপুত্র। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনায় প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির পরিকল্পনা ও উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা করিমের তত্ত্বাবধানে ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক চাকলাদার মোস্তফা আল মাস্উদের সমন্বয়ে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
ছবিটিতে সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হকের সাহিত্য রচনায় কুডিগ্রামের জনজীবন, তাদের সরলতা, প্রান্তিক মানুষের জীবন সংগ্রামের বিষয় স্থান পেয়েছে।
শামসুল হকের জন্মস্থান কুড়িগ্রামে তার স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থান তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে। ছবিটিতে উঠে এসেছে তার পৈর্তৃক নিবাস, রিভারভিউ স্কুল, তার প্রথম লেখা ছাপার কারখানা কাত্যায়নী প্রেস, বকশী বাড়ি, ধরলা নদীসহ তার ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রের সংরক্ষণাগার উত্তরবঙ্গ জাদুঘর এবং তার সমাধি স্থান।
শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রে সৈয়দ শামসুল হকের অবদান তুলে ধরেন তার সহধর্মিণী কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, মঞ্চ সারথী আতাউর রহমান, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, নাট্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।
এছাড়া নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর ও অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার ছবিটির বিভিন্ন জায়গায় সৈয়দ শামসুল হকের সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের নানা দিক তুলে ধরেছেন।
ছবিটির নির্মাণ বিষয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা রাসেল রানা দোজা জানিয়েছেন, বিশ্ব সাহিত্যের একনিষ্ট একজন সাহিত্যিক, বিশেষত চলচ্চিত্র নাটক ও সংগীতের বহুমাত্রিক লেখক ও সমালোচক সৈয়দ শামসুল হক। তাঁর শিল্পীত জীবনের নানা দিকসহ তাঁর জীবন ও কর্মের নানা বিষয় তুলে আনার চেষ্টা এই চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: রাসেল রানার গবেষণায় ‘চলচ্চিত্র সংগীতে আজাদ রহমান’