কেয়ামত থেকে কেয়ামত ভক্তদের অন্তরে অন্তরে প্রিয়জন হয়ে থাকবেন তিনি
প্রকাশের সময় :
কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
কেয়ামত থেকে কেয়ামত ভক্তদের অন্তরে অন্তরে প্রিয়জন হয়ে থাকবেন বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে উজ্জ্বলতর তারকা সালমান শাহ। জীবন সংসারে সবাইকে কাঁদিয়ে ১৯৯৬ সালের এইদিনে স্বপ্নের পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন স্বপ্নের নায়ক সালমান। আজ ২৫ বছর অতিক্রান্ত হলো এই ঘর এই সংসার’র প্রিয় মানুষ সালমান নেই। প্রেম পিয়াসী মনগুলো সালমানকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। ভক্তদের উদ্দেশ্যে তাই তো সালমান বলে গেছিলেন আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে।
সালমান শাহ’র অপ্রত্যাশিত মৃত্যু নিয়ে বহু বছরে বহু জল ঘোলা হয়েছে। ঢাকার ইস্কাটনে নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় সালমানের। ময়না তদন্ত রিপোর্টে আসে আত্মহত্যা তবে এটিকে হত্যা বলে দাবি করে অভিযোগ করেন মা নীলা চৌধুরী। অভিযুক্ত হন সালমানের স্ত্রী সামিরা।
তাঁর মৃত্যুর পর পরিবার অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন। বহু বছরের তদন্তকার্য শেষে পিবিআই রিপোর্ট দিয়েছে, সালমান শাহ আত্নহত্যা করেছিলেন। তবে ভক্তদের মনে নানা রহস্য দাঁনা বেঁধে আছে। এই রহস্যের সমাধান যেনো অধরাই।
বিচার হবে-এমন চাওয়া নিয়ে রাজপথেও দাঁড়িয়েছেন সালমানের মা ও তাঁর ভক্তরা।
পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। জন্মেছেন একাত্তরের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট খালার বান্ধবীর মেয়ে সামিরা হককে বিয়ে করেছেন ভালোবেসে। গুনী পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে এসেছেন চলচ্চিত্রের আশা ভালবাসায়।
চার বছরের ক্যারিয়ার তাঁর। স্নেহ-ভালবাসায় দর্শকহৃদয় জয় করেছিলেন এই কদিনেই। মাত্র ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তুমি আমার আকাশ, সুজন সখি, বিক্ষোভ, স্নেহ, প্রেমযুদ্ধসহ আরও কত। নব্বই দশকের ছেলে থেকে বুড়ো সবাই বুদ হয়ে থাকতো তার সিনেমায়। যেনো সবসময় তাদের মুখে থাকতো তোমাকে চাই হে সালমান। মেতে থাকতো সালমানের সিনেমায়।
তবে ভালোবাসার সালমান একদিন সবার বুকের ভিতর আগুন জ্বালিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন পরপারে। মৃত্যুর এতো বছর পার হয়েছে তবে এখনও তাঁর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। সৈকতে সারস হয়ে পাথর সময়ে এখনও তিনি অমলিন।