কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সফল, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে সংস্কৃতিকর্মীদের জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে বিজয়ী করাকে এই মুহূর্তে সকলের করণীয় বলেও মত দেন সংগঠনটির নেতারা।
বুধবার ২০ ডিসেম্বর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংবাদিক সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তারা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আহ্কাম উল্লাহ্ ও পথনাটক পরিষদের সভাপতি নাট্যজন মিজানুর রহমান। সম্মেলনে জোট সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সাধারণ নাট্যজন আহম্মেদ গিয়াস, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সংস্কৃতিজন মানজার চৌধুরী সুইট, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য আবৃত্তিশিল্পী রেজীনা ওয়ালী লীনা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আজহারুল হক আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে আমরা সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমরা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সকল জেলা, উপজেলা কমিটি এবং দেশের সকল সংস্কৃতিকর্মীকে এই মনে রাখতে হবে, স্বাধীন বাংলাদেশের মূল ভিত্তি হলো আমাদের ঐতিহ্যপূর্ণ সংস্কৃতি। আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কৃতিবিরোধী অপশক্তিকে পরাভূত করার লক্ষে গণজাগরণ সৃষ্টি করে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, আদর্শের ক্ষেত্রে আমরা নিরপেক্ষ নই। আমাদের আদর্শ মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের আদর্শ ৩০ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন। এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে বিজয়ী করা আমাদের এই মুহূর্তে করণীয়।
লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান গণতন্ত্রের ভিত্তি। সেই লক্ষ্যে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশনকে স্বয়ংসম্পূর্ণকরণ এবং সংবিধানের আলোকে নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলসহ সকল মহলের সর্বোত্তম সহযোগিতা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য যেকোনো ইতিবাচক মতামত প্রদান ও গ্রহণ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকেই আরো বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে।
এ সময় নির্বাচন, গণতন্ত্র, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তি অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বাঙালির হাজার বছরের উদার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সংষ্কৃতিকর্মীরা খড়গহস্ত উল্লেখ করে বলা হয়, এরা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে সমাজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার পাশাপাশি সংস্কৃতিকে ধর্মের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। আমরা অতীতের মতোই এদের সকল ষড়যন্ত্র গুঁড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: বাঙালি সংস্কৃতিতে ঈদ