তেইশের ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ শুরু হয়েছে ‘গণজাগরণের চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’। উৎসব শেষ হবে চব্বিশের জানুয়ারির ৫ তারিখে। বিদায়ী বছরে চলচ্চিত্রের উৎসবে সামিল হয়েছে নগরের বিনোদনপ্রিয় মানুষ। এ উৎসবে ১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে ১৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। বিশেষ প্রদর্শনী হিসেবে রয়েছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি।
শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসবের ধারাবাহিকতায় ‘উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫ মিনিটের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ও উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয় ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার।
একযোগে ৬৩ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে ৮ দিনব্যাপী ‘গণজাগরণের চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’আয়োজনে বছরের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর গণঅর্থায়নে নির্মিত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘সাঁতাও’প্রদনর্শন করা হবে। এদিন বিকেল ৪টায় খন্দকার সুমন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাবে।
সিনেমাটির পরিচালক খন্দকার সুমন জানান, তেষট্টি জেলায় বড় পর্দায় একযোগে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হওয়া নিঃসন্দেহে বিস্ময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক যে চলচ্চিত্র উৎসবগুলো হয়, সেখানেও এক যোগে তেষট্টিটি প্রদর্শনী হয় না। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ভাই সব সময় সুস্থধারার চলচ্চিত্রের সাথে ছিলেন বলেই একযোগে এত গুলো প্রদর্শনী গণ-অর্থায়নে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রের ভাগ্যে জুটল।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর ভারতের ‘৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া’ চলচ্চিত্র উৎসবের গোয়া প্রদেশের পাঞ্জি শহরে চলচ্চিত্রটির ‘ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার’ হয়।
এদিকে ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ৬৩ জেলায় শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ‘ফজিলাতুন নেছা মুজিবের’ জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘বঙ্গমাতা’। ৩১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় ছবিটি আবারও প্রদর্শিত হবে।
২৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন গৌতম কৈরী। ছবিটি লেখক খোরশেদ বাহারের ‘বঙ্গমাতা: ইতিহাসের নিভৃত সৈনিক’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন নাসরীন মুস্তাফা। ছবিটিতে ‘বঙ্গমাতা’চরিত্রে জ্যোতিকা জ্যোতি ও ‘বঙ্গবন্ধু’ চরিত্রে মনির আহমেদ অভিনয় করেছে। শেখ হাসিনার কিশোরীবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন লাবণ্য চৌধুরী। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন শোভন দাস, ফারজানা ছবিসহ অনেকে।
এদিকে বছর ঘিরে বেশকিছু চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ছিলো তুঙ্গে। বছরব্যাপী হিন্দি সিনেমার জোয়ারও ছিলো। এর মধ্যে বছর শেষে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখায় শিল্পসমৃদ্ধ সিনেমার উৎসব সুস্থধারার বিনোদনপ্রেমীদের জন্য স্বস্তি বয়ে নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।